• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯

ঢালিউড

এসব বিষয়ে খোটা দিলে সংসারটাই টিকত না : বর্ষা

  • প্রকাশিত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক

ঢালিউডের রোমান্টিক জুটি অনন্ত-বর্ষা।  এক যুগেরও বেশ সময় ধরে সংসার করছেন তারা।  বর্তমানে দুই সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন অনন্ত-বর্ষা।  কম-বেশি সবার সংসারেই খুনসুটি, মান-অভিমান থাকে।  অনন্ত-বর্ষাও তার ব্যতিক্রম নন। তবে তাদের সংসারে মান-অভিমান থাকলেও ভালোবাসার উদাহরণই বেশি।

খুব গরিব ঘরের মেয়ে চিত্রনায়িকা বর্ষা।  বরাবরই সেটি প্রকাশ্যে স্বীকার করে এসেছেন তিনি।  বলা যায়, সিনেমার মতোই ধনী-গরিবের প্রেম ছিল অনন্ত-বর্ষার।  তবে সেসব নিয়ে কখনও কথা শোনাননি অনন্ত।  বরং ভালোবাসার মানুষকে শুরু থেকেই আগলে রেখেছেন এই নায়ক।

সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে নিজেদের ভালোবাসার গল্প জানালেন বর্ষা।  এ সময় তিনি বলেন, আমি গরিব ঘরের মেয়ে বলে কখনও কোনো বিষয়ে কথা শোনাননি অনন্ত।  খোটা দিলে হয়তো আমাদের সংসারটাই টিকত না।

বর্ষা বলেন, একটি অনুষ্ঠানে অনন্তের সঙ্গে প্রথম দেখা ও পরিচয় হয় আমার।  আমি তখন গার্লস হোস্টেলে থাকতাম।  আমি তো অর্থবিত্তে অত বড় পরিবারের কেউ নই।  হোস্টেলের সেই একই খাবার খেতে ভালো লাগত না প্রতিদিন।  পরিচয়ের পর থেকে মাঝে মাঝেই অনন্ত আমাকে ওর গাড়িতে করে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়াত।

এভাবেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তা বাড়তে থাকে।  আমি জীবনটা খুব বাস্তবতা থেকে দেখি।  আমি কখনও কোনো কিছু লুকাইনি অনন্তর কাছে, যেটা তার ভান মনে হবে।  অনন্তও ঠিক তাই। সে কারণেই হয়তো আমাদের প্রেমটাও নিবিড় হয়েছে।

দুজনের মধ্যে পরস্পরের প্রেম নিবেদনটা কীভাবে হয়েছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে বর্ষা বলেন, একদিন ঘুমানোর আগে অনন্তকে বললাম দেখি এক মিনিটে কে কতবার ‘আই লাভ ইউ’ লিখে পাঠাতে পারে? আমি জানতাম অনন্ত এসএমএস-এ খুবই স্লো।  তাই ভেবেছিলাম আমিই জিতব।  কিন্তু দেখলাম এক মিনিটে প্রায় হাজারবার ‘আই লাভ ইউ’ লিখে পাঠিয়েছে।  পরে জানলাম, ওর হাতে স্মার্ট ফোন ছিল, সে কপি করে ইচ্ছেমতো পেস্ট করে দিয়েছে।  যেটা আমি পারিনি।  কারণ, আমার কাছে তখন বাটন ফোন ছিল।

এই যে ধনী-গরিবের প্রেম, সংসারের শুরুতে এ নিয়ে কোনো বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন কি না? জানতে চাইলে চিত্রনায়িকা বলেন, আমি খুব গরিব ঘরের মেয়ে।  বিষয়টি সবসময়ই স্বীকার করি আমি।  এটা বলতে তো আমার দ্বিধা নেই।  কিন্তু আমার আত্মসম্মানবোধ আছে। সেটা অনন্ত বুঝত।  আর কখনও অনন্ত এসব বিষয়ে কথা শুনালে হয়তো আমাদের সংসারটাই টিকত না।  ও আমাকে শুরু থেকেই সেই সম্মানের জায়গাটা দিয়েছে।

সবার আগে নিজেদের পরিবারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য প্রাধান্য দিয়েছি আমরা।  জীবনের এই পরিচয় কিংবা জনপ্রিয়তার মোহও বেশি দিনের না।  কিন্তু অনন্ত আমার সারাজীবনের প্রেম।  ওর সঙ্গেই আমি বুড়ি হতে চাই।  বৃদ্ধ বয়সে কিন্তু এসব কিছুই থাকবে না।  শুধু আমি আর অনন্তই থাকব।

BK-MA

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads